Posts

রাষ্ট্র এখনো আমাদের হয়ে উঠেনি

কতটা ক্ষোভ নিরিহ মানুষদের বিদ্রোহী করে তোলে, কতটা অন্যায় দেখলে যেসকল মানুষেরা কোনো ঝামেলা দেখলে দৌড়ে পালানের চেষ্টা করতো তারা বিন্দুমাত্র অন্যায়ের আচঁ পেলে প্রতিবাদ করে উঠে। এ সমাজ কখনো সাধারণ মানুষের কথা ভাবে না। এ রাষ্ট্র কখনো অসহায়, দরিদ্র মানুষের রাষ্ট্র হয়ে উঠতে পারে নাই। এ সমাজ, রাষ্ট্র শুধু উচ্চবিত্তদের উচ্চাকাঙ্খা পূরণের জন্য মরিয়া। অন্য দিকে গরীব দুঃখী মানুষগুলো বছরের পর বছরের শুধু ইনসাফের আশায় বেইনসাফীদের ডাকে নিজের জীবন দিবে অকাতরে বিলিয়ে।

জুলাইয়ের বীরদের দেহ আজ রক্তে রঞ্জিত

জুলাই আন্দোলনের বীর সেনাদের গুপ্ত হত্যা করা হচ্ছে। আমার ভাইয়েরা জুলাই আন্দোলনে রক্ত দিয়েছে, ঘাতকের গুলির সামনে ঢাল হয়ে তাদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। আজ সেই বীর সেনারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সন্ত্রাসীগুলো বুক ফুলিয়ে হাঁটছে হয়তো নতুন কোনো বীরের দেহ রক্ত রঞ্জিত করতে। কিন্তু আবার যেদিন বীরের রাস্তা নামবে? তখন এসব ঘাতকদের দোসর সন্ত্রাসীদের খুঁজে খুঁজে বের করে তাদের জীবনের বারোটা বাজিয়ে ফেলবে ইন শা আল্লাহ। তবুও কষ্ট আমারো ভাইয়েরা আজও মরে আর খুনীরা ঘুরে ফেরে।

আমার প্রতিবাদের ভাষা

ক্লান্ত মনে অনেক ক্ষোভ জমে, হতাশা আর গ্লানি তো স্বাভাবিক ব্যাপার। তবু মনের মধ্যে আশা জাগে অবসরের সময়ে আমার কলম ব্যস্ত থাকবে প্রতিবাদের কঠিন কঠিন সব শব্দ লিখতে। আমি তুচ্ছ একটা মানুষ। আমার লেখনীগুলো আরো তুচ্ছ কিন্তু সামান্য স্বান্তনা নিজেকে নিজে দিতে পারি এই ভেবে যে কোনোদিন যদি কোনো অন্যায়কে সমূলে তুলে ফেলার সুযোগ হয় তাহলে এ লেখাগুলো আমাকে আল্লাহর রহমতে স্বস্তি দিবে যে, "হ্যাঁ আমি একসময় আমি দুর্বল থাকলেও আমার প্রতিবাদের ভাষা কখনো দুর্বল ছিলো না"।

জুলাই অভ্যুত্থান

জুলাই অভ্যুত্থানে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, ভুলকে ভুল বলার সাহস পেয়েছে। চোখের সামনে মানুষ মারা যাওয়ার পরেও ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সাহস জুগিয়েছে। মানুষ গতানুগতিক আখ্যানকে ছুড়ে ফেলে সেই ব্যবস্থা ভেঙে নতুন ব্যবস্থা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছে।

চিন্তার গভীরে গেলে সংঘাতের আভাস পাওয়া যায়

প্রত্যেক মানুষের চারপাশে বেশিরভাগ সময়ই তার সমকক্ষ পর্যায়ের মানুষ বসবাস করে। যা মানসিক, চিন্তা, দর্শন, অর্থনীতি, রাজনৈতিক, ধর্মীয় নানা দিকের ব্যাপারেই তা সত্য।  চারপাশের মানুষের মধ্যে সব ব্যাপারেই একটা বিশাল বৈষম্য থাকলে মানুষ ইচ্ছাকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃতভাবে ওই স্থান থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে অন্যথা প্রস্থান করে। তবে এইযে ধরে নেয়া যায় চারপাশে মানুষের কোনো না কোনো দিক দিয়ে সাম্যতা রয়েছে এবং সাধারণত মানুষ এটা প্রবলভাবে বিশ্বাস করে যে তার কাছের মানুষের চিন্তা চেতনা তার মতনই কিন্তু অনেক সময় মানুষের এ ধারণা ভুল হয়। এটা  প্রত্যেক মানুষের মধ্যে যে চিন্তা চেতনার বৈচিত্র্য আছে ব্যাপারটা এমন না। বরং দুটি মানুষ পরস্পর জানে যে তারা একই রকম চিন্তা করে, তাদের দর্শন, জ্ঞান সময় পর্যায়ের কিন্তু অনেক সময় তা বড় ধরণের একটা ভুল হয় এবং নিজেরা নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে চিন্তা ভাগাভাগি করতে করতে অনুধাবন করে তাদের মধ্যে প্রচণ্ড দ্বন্দ্ব বিদ্যমান একইভাবে চিন্তা করার পদ্ধতি অনুসরণ করার পরেও। কখনো কখনো এই দ্বন্দ্ব এতো ভয়াবহ হয় যে তখন ভিন্ন চিন্তার মানুষও বেশি ভালো হয়ে থাকে যেই মানুষটার সাথে চিন্তা শেয়ার করা...

সমকালীন ঘটনাদ্বয়ের কাকতালীয় যোগসূত্র

জীবনে হঠাৎ করে কোনো প্রশ্ন বা বিষয় এসে যায়। যার উত্তর অজানা কিন্তু এই অজানা বিষয়ই কাকতালীয়ভাবে কয়েকদিনের মাঝি চেনা জানা হয়ে যায় এবং ওই প্রশ্নের উত্তর বা বিষয়ের বিস্তারিত বর্ণনা জানার এক অকল্পনীয় ব্যাপার জীবনে অনেক সময়ই ঘটে মহাবিশ্বের রবের অনুগ্রহে। 

চিন্তার ও তার বাস্তবায়ন ফারাক এবং আমাদের প্রতিক্রিয়া

পৃথিবীর সবচেয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ, জটিল এবং ক্রিয়াশীল ও সেরা মস্তিক হলো মানুষের এবং যেভাবে আমরা তা বুঝতে পারি তার অন্যতম একটা উদাহরণ হলো মানুষ প্রচুর চিন্তা করতে পারি। প্রতিদিন, প্রতি ঘন্টায় বা আমরা আরো সহজ করে বলতে পারি প্রতি মুহূর্তে আমরা এক একটা চিন্তায় চিন্তিত থাকি। বিভিন্ন বিষয়ের কার্যপদ্ধতি, ফলাফল, ভবিষ্যৎ আরো অনেক জিনিস নিয়ে আমরা চিন্তা করি এবং তার মধ্যে আমরা কিছু কিছু জিনিস সামনে বাস্তবায়নের কথা ভাবি হতে পারে তা নিয়মিত ব্যক্তিগত কিংবা কর্মক্ষেত্রের কাজের অংশ, নিজের শখ বা তাৎক্ষণিক প্রয়োজন বা সমস্যার সমাধান। কিন্তু স্থান, পাত্র, কাল, অবস্থানের প্রেক্ষিতে মোটা দাগে বেশিরভাগ চিন্তার বাস্তবায়ন হুবুহু সেই রকম হয় না। চিন্তা এবং বাস্তবায়নের এই ব্যবধান নানা ভাবে হতে পারে এবং প্রায় প্রতিদিনই হয়। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া মানুষ যেভাবে চিন্তা করে তার সক্ষমতা অনুসারে তা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন কঠিন হয়।  কিন্তু আমাদের প্রতিক্রিয়াগুলো মারাত্মক নেতিবাচক হয় অনেক সময়। নিজেরা আত্মপরিচয়হীনতায় ভুগি অর্থাৎ এই বার বার ব্যর্থতার জন্য আমরা আমাদের পরিবার, সমাজ, ধর্ম কিংবা জাতিকে দোষ দেই। আমাদেরকে দোষ...