Posts

অতিক্ষুদ্র এক অস্তিত্ব: মানুষ

সাগরের সামনে দাঁড়ালে সাগরকে কি বিশাল মনে হয়, আকাশের দিকে তাকালেও ইয়া মস্তবড় আসমান, পাহাড়গুলোর দিকে তাকিয়ে জীবনে একবার কেও তার বিশালতার কথা ভাবেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এই সাগর, আসমান, পাহাড় কিংবা পাহাড়সম দালানকোটার মাঝেই পৃথিবীর মানুষের বসবাস। অতএব মানুষ বুদ্ধিমত্তার, সাহস, ক্ষমতার দিক দিয়ে নিজেকে অনেক কিছুই দাবি করতে পারলেও অতিক্ষুদ্র এক অস্তিত্ব।    

পুরনো প্রশ্নের উত্তর

হঠাৎ আলাপনে খুঁজে পাওয়া অনেক পুরনো প্রশ্নের উত্তর। এই প্রশ্নের উত্তরের আশায় কেটে গেছে বহু প্রহর। জীবন বিচিত্র যেমন বিচিত্র তাকে ঘিরে হাজারো প্রশ্ন ও তার উত্তরসমূহ।

জীবনটা কেমন?

আমাদের জীবনটা কি বাস্তবতা এবং কঠিন শব্দ নির্ভর প্রবন্ধ নাকি বহু উত্থান পতন নিয়ে গড়া এক রূপকথার গল্প,আসলে এটা উভয়ের সংমিশ্রণ। জীবনের একটা অংশ বাস্তবতা এবং কঠিন শব্দ নির্ভর প্রবন্ধের মতন আবার আরেকটা অংশ রূপকথার মতন এমনকি কারো কারো ক্ষেত্রে রূপকথার চেয়ে বেশি কাল্পনিক ব্যাপার ঘটে। এটাই জীবনের সৌন্দর্য কখন কাদায়, কখনো হাসায় আবার কখনো ভাবায়।

আত্মউন্নয়ন

এক্সটার্নাল ফ্রেমওয়ার্কে নিজেকে ডেভেলপ করার চেয়ে নিজস্ব ফ্রেমওয়ার্কে এক্সটার্নাল এলিমেন্টস ব্যবহার করে নিজেকে ডেভেলপ করাই শ্রেয়।

তাদের জন্য খানিক সময়ের জন্য মনে ভরে দোয়া করা প্রয়োজন

নতুন রাষ্ট্র, নতুন সরকার, নতুন দিনের স্বপ্ন। যাদের রক্তের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা তাদেরকে যতটা সম্ভব মনে রাখার চেষ্টা করি। মানুষ স্বভাবতই ভুলে যায়, এই নতুন রাষ্ট্র, নতুন সরকার, নতুন দিনের সকল স্বপ্ন তো ভুলে যাওয়ার প্রবণতাকে আরও ত্বরান্বিত করে। তারপরও আমাদের যতটুকু সম্ভব মনে রাখা প্রয়োজন যারা জালিমদের বিরুদ্ধে নিজে জীবনকে বাজি রেখে নেমেছিল। তারা জানত না যে হয়তো দেশ আবার জালিমদের থেকে মুক্ত হবে। তাই যখনই সুযোগ পাই তাদের জন্য খানিক সময়ের জন্য মনে ভরে দোয়া করা প্রয়োজন।

রূপকথা বনাম বাস্তবতা

শহরের সবটুকু আলো যদি নিভে যেত, থমকে যেত সব কর্ম ব্যস্ততা তবে ...। না তবে কিছুই হতো না! কাব্যিক ঢঙ্গে, গল্পের রঙ্গে যতই গালগল্প বলি না কেন। জীবনের অনেক কিছুই ইচ্ছাশক্তির বিপরীতে গিয়ে অথবা ভুল পথে গিয়ে এগিয়ে যায়। তাই কল্পনা করা ভালো, কিন্তু নিজেকে কাল্পনিক রাজ্যের অধিবাসী না ভাবাই শ্রেয়। এ শহর হয়তো দেয়নি রূপকথার মতন কিছু, তবে আশার সম্বলটুকুন নিয়ে বেঁচে থাকার জায়গা তো পাওয়া যায়।

বিজয়ীদের হাতে লেখা ইতিহাস

আমরা সবাই সফলতা খুঁজি। আমরা সবাই দিন শেষে অধিকাংশই স্বার্থপর। এটা সত্য, মহাসত্য। ইতিহাস সবসময় বিজয়ীদের কথা লেখে, কারণ ইতিহাস লেখা হয় বিজয়ীদের হাত দিয়ে। অবশ্য এক্ষেত্রে আমরা যারা সমাজের অধিবাসী, আমাদের ভূমিকাও কিন্তু নেহাত কম নয়। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করি পরাজিতদের ভুলে থাকতে, তাই কোনো পরাজিতগোষ্ঠীর দুঃসাহস হয় না যে এ সমাজের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, ইতিহাস লেখনীতে অংশগ্রহণ করবে।